সময় টা ২০০৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর।আদ্রিতা আক্তার রুম্পা নামে একজন ভদ্র মহিলা কুষ্টিয়ার আদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।উনি পেশায় একজন মাধ্যমিকের শিক্ষিকা।একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে তার।নাম স্বপন।স্বামী বিদ্যুৎ অফিসের একজন কর্মকর্তা।
অপর দিকে কুমারখালীর একজন মহিলাও আদ্দীন হাসপাতালে ভর্তি আছেন(মেয়েটির নিরাপত্তার স্বার্থে তার নকল বাবা মা এর নাম পরিচয় গোপন করা হলো।আসল বাবা মা কে খুজে পাওয়ার পরই বিষয়টি সামনে আনা হবে)।ইতি মধ্যে তিনি ৬ টি মৃত বাচ্চা প্রশব করেছেন এবং এ কারণে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ডিভোর্স এর কথা বলেছে।এবারও যদি মৃত সন্তান হয় তবে ডিভোর্স নিশ্চিত।তাই মেয়ের সংসার রক্ষায় জনৈক মহিলার মা তৎকালীন ডাক্তার ও নার্সদের ধন্না দিতে থাকেন ।কিছু টাকাও লেনদেন হয়।বিনিময়ে ডাক্তার সাহের যে ভাবেই হোক একটি জিবিত বাচ্চা তাদের কোলে তুলে দিবেন।তা প্রয়োজনে অন্য কারো বাচ্চার সাথে বদল করে হলেও।
যথারিতি একই দিনে একই সময়ে আদ্রিতা আক্তার রুম্পা ও কুমারখালীর জনৈক মহিলা সন্তান সন্তান প্রসব করলেন।আদ্রিতা আক্তার রুম্পা একটি কণ্যা সন্তান প্রশব করেছেন।কুমারখালীর সেই জনৈকা মহিলাও একটি কণ্যা সন্তান প্রশব করেছেন কিন্তু প্রতিবারের ন্যায় এবারও তার সন্তানটি মৃত।
ডাক্তার সাহেব তার কথা রাখলেন ।আদ্রিতা আক্তার রুম্পার সুস্থ কণ্যা সন্তানটি তুলে দেওয়া হলো কুমারখালীর সেই জনৈকা মহিলার হাতে।অপরদিকে আদ্রিতা আক্তার রুম্পাকে জানানো হলো আপনি একটি মৃত কণ্যা সন্তান প্রশব করেছেন।
ফিল্মের কাহিনির মত শোনালেও ঘটনা সত্য।
এখন ২০২০ সাল ,কুমারখালীর সেই জনৈকা মহিলার কোলে একটি মেয়ে জন্ম নিয়েছে।তিনি জানেন তার বড় মেয়েটা তার নিজের নয়।তাই ১৮ বছর বয়সের সেই মেয়েটির উপর নেমে এসেছে ভয়াবহ শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন।এমত অবস্থায় কুমারখালীর সেই জনৈকা মহিলার বাপের বাড়ির লোক কথাটি মেয়ে টিকে জানায়।এবং মেয়েটি এখন তার আসল পিতা মাতাকে খুজছে।
আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো news টি share করে একজন সন্তানকে তার পিতা মাতার কাছে ফিরতে সাহায্য করুন
0 Comments